Inner awakening Talimuddin

তালিমুদ্দিন ও অবিনশ্বর জগতের অনুভব
ভাসমান ঘরে বসে তালিমুদ্দিন যখন প্রতিদিন লিখতে চায়, সে বুঝতে পারে—তার লেখাগুলো কাগজে থাকে না, হারিয়ে যায়। একসময় সে ভয় পায়, হয়তো তার অস্তিত্বও হারিয়ে যাবে।
কিন্তু ধীরে ধীরে, সে উপলব্ধি করে—
"যা হারিয়ে যায়, তারাই তো অবিনশ্বর।"
কারণ—
-
শব্দ হারিয়ে গেলেও তার অর্থ থেকে যায়।
-
শরীর বিলীন হলেও চেতনা অনন্তে বহমান।
তালিমুদ্দিনের মধ্যে এক ধরণের "inner awakening" হয়। সে বুঝতে পারে:
-
সময় কেবল এক ধারা নয়, এটি এক জীবন্ত নদী, যা বহন করে স্মৃতি, ইতিহাস, ভুল, এবং ক্ষমা।
-
মানুষ কেবল জীবন কাটায় না, জীবনের মধ্য দিয়ে স্রষ্টার গল্পও বহন করে।
-
মৃত্যু আসলে শেষ নয়, বরং আলোকের দিকে যাত্রা।
অধ্যায়: মহাসমুদ্রের বুকে
চারদিক নিস্তব্ধ। বাতাস নেই। আলো নেই।
তালিমুদ্দিন একা, তার কাঠের ভাসমান ঘরে।
এই ঘরটিও যেন আর জলেই ভাসছে না,
বরং সময়, স্মৃতি, আর নিরবতার ঢেউয়ে দুলে চলছে।এই প্রথমবার, সে বুঝতে পারে—
সে আর কোনো নদীতে নেই।
তার চারপাশে এখন এক অসীম মহাসমুদ্র,
যার নেই কোনো তীর, নেই কোনো উৎস,
আছে শুধু এক গভীর চেতনা,
যা কোনো ধর্মে বাঁধা নয়, কোনো ইতিহাসে লেখা নয়।সে জানালার পাশে দাঁড়ায়।
ঘরের ভেতরে এখন আর শব্দের প্রতিধ্বনি হয় না।
শুধু মনে হয়, তার চিন্তা গুলো জলরাশির মতো মিশে যাচ্ছে অসীমের সাথে।তার হাতে খোলা সেই পুরোনো খাতা।
কালি নেই। শব্দ নেই।
তবু পাতার ওপর ফুটে উঠছে অদৃশ্য অক্ষর:"যেখানে কেউ পৌঁছায় না,
আমি সেইখানে অপেক্ষা করি।
আমি না মানুষ, না ঈশ্বর,
আমি এক অনন্ত গল্প—যে শেষ হয় না, মুছে যায় না,
কেবল রূপ নেয়।"তালিমুদ্দিন পড়ে, আবার পড়ে।
তার চোখে জল নেই, মুখে হাসিও নেই।
শুধু এক গভীর অনুভব—
যেন সে এবার বুঝেছে,
সে কখনো হারায়নি,
কারণ সে ছিল সেই গল্প,
যা লেখা হয় না কাগজে,
লেখা হয় অস্তিত্বে।হঠাৎ করে চারপাশে আলো নামে না, বরং আলো জেগে ওঠে তার ভিতর থেকে।
তার শরীর, তার নাম, তার সময়—সব মিলিয়ে যায় বিশাল কোনো নিরবতায়।সেই মুহূর্তে, দূর থেকে এক বাচ্চা মেয়ের কণ্ঠ ভেসে আসে—
“তুমি কি শেষমেশ লিখতে পেরেছো?”
তালিমুদ্দিন চুপ করে থাকে।
তার ঠোঁট নড়ে না।
তবু উত্তর শোনা যায় বাতাসে:“আমি লিখিনি,
আমি হয়ে উঠেছি সেই লেখা।”“And in the heart of the great sea,
a man once known as Talimuddin
became the story itself—
unwritten, unseen,
yet never forgotten.”
Leave a Comment